সভাপতির বানী

বাংলাদেশের মাধ্যমিক শিক্ষা ব্যবস্থা জাতিকে আলোকিত ভবিষ্যতের পথে এগিয়ে নিচ্ছে। প্রাথমিক শিক্ষার পর এই পর্যায়েই শিক্ষার্থীরা জ্ঞান অর্জনের নতুন দিগন্তে প্রবেশ করে। মাধ্যমিক শিক্ষা কেবল একাডেমিক জ্ঞান নয়, বরং জীবনের জন্য প্রয়োজনীয় নৈতিকতা, শৃঙ্খলা ও সামাজিক সচেতনতা অর্জনের সুযোগ তৈরি করে দেয়। এ স্তরের শিক্ষা যত উন্নত হবে, জাতির ভবিষ্যৎও তত বেশি উজ্জ্বল হবে। মাধ্যমিক শিক্ষার প্রধান লক্ষ্য হলো শিক্ষার্থীদের সঠিক জ্ঞান অর্জনের পাশাপাশি তাদের চিন্তাশক্তি, বিশ্লেষণ ক্ষমতা ও সমস্যা সমাধানের দক্ষতা বৃদ্ধি করা। আধুনিক বিশ্বে প্রতিদিন নতুন নতুন চ্যালেঞ্জ তৈরি হচ্ছে, তাই এই স্তরে শিক্ষার্থীদের বিজ্ঞান, প্রযুক্তি, গণিত ও ভাষা বিষয়ে দক্ষতা অর্জন অপরিহার্য। মাধ্যমিক শিক্ষা সেই আধুনিক জ্ঞান অর্জনের ভিত তৈরি করে দেয়। শুধু পাঠ্যপুস্তকের জ্ঞান নয়, মাধ্যমিক শিক্ষা শিক্ষার্থীদের নৈতিকতা ও সামাজিক মূল্যবোধেও গড়ে তোলে। বিভিন্ন সাংস্কৃতিক কার্যক্রম, খেলাধুলা, বিতর্ক প্রতিযোগিতা ও সহশিক্ষা কার্যক্রম শিক্ষার্থীদের আত্মবিশ্বাসী করে তোলে এবং সমাজের প্রতি দায়িত্ববোধ জাগ্রত করে। এর মাধ্যমে তারা ভবিষ্যতে যোগ্য ও সুশৃঙ্খল নাগরিক হয়ে উঠতে পারে। মানসম্মত মাধ্যমিক শিক্ষা দেশের উন্নয়নে বড় ভূমিকা পালন করে। একটি দক্ষ ও শিক্ষিত প্রজন্মই সমাজকে প্রগতিশীল পথে এগিয়ে নিতে পারে। তাই মাধ্যমিক শিক্ষার মান উন্নয়ন, প্রশিক্ষিত শিক্ষক, আধুনিক পাঠ্যক্রম এবং প্রযুক্তিনির্ভর শিক্ষার বিস্তার নিশ্চিত করা সময়ের দাবি। অবশেষে বলা যায়, মাধ্যমিক শিক্ষা ব্যবস্থা শুধু ব্যক্তির জীবনকেই নয়, পুরো জাতির উন্নয়ন ও অগ্রগতির ভিত্তি স্থাপন করে। এই শিক্ষা যদি মানসম্মতভাবে সকলের কাছে পৌঁছে দেওয়া যায়, তবে সুশিক্ষিত ও প্রগতিশীল প্রজন্মই সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ে তুলবে।